সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মানুষ মূলত একা

সাগরের মাঝখানে ছোট এক জাহাজে, একা বসে আছি। সপ্তাহখানেক হলো আমার মূল দল থেকে আলাদা। এদিকে খাবারও প্রায় শেষের দিকে।  পশ্চিম আকাশে সূর্যের আজকের মত বিদায় নিচ্ছে। বেলা শেষে পাখিরাও নীড়ে ফিরছে। শেষ বিকেলে এই ভাবছি যে, আমি কি কখনো বাড়ি ফিরতে পারবো? না সমাধী হয়ে বিলীন হয়ে যাবো সমুদ্রের এই গভীরতায়? মাঝ সাগরে সৃষ্টিকর্তার নিকট একটু বেচে থাকার আকুতি। 

ডিটেকটিভ থ্রিলার

আমি কি চেয়েছিলাম যে নিবির একা থাকুক? কখনই না । আমি তাকে একটি সুন্দর জীবন উপহার দিতে চেয়েছিলাম । এখন দেখি সে তার সবকিছু ছেড়ে কোথায় যেন ঘাপটি মেরে বসে আছে । কাকা আপনি যা করেছেন সব তার ভালোর জন্যই করেছেন কিন্তু সে তো এইসব ভালো ভাবে নিচ্ছে না । তার কাছে ভালো মনে হচ্ছে অন্য কিছু । কেনো এই ব্যাপারে তোমাকে ও কিছু বলেছে? তেমন কিছুই না । মাঝে ওর কাছ থেকে শুনতাম পুলিশের চাকরী টাই নাকি ওর মনে খুব ধরেছিল। কি? ও চাকরী কেউ করে? ঘুষ এর ব্যাপার স্যপার আমার এসব মোটেও পছন্দ না । সরকারী চাকরী তো কি হয়েছে । এটা আমি কখনই মেনে নেব না। রহিমের বাবাকে হাজার বুঝিয়েও কাজ হলো না । শেষে একরকম বিরক্ত হয়েই ওর বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম। নিবিরআমার ছোট কালের বন্ধু । আমাদের এক সাথেই বড় হওয়া । ছোটবেলা থেকে বন্ধুর স্বপ্ন গোয়েন্দা হবে । বাসায় গেলেই দেখতাম Sherlock Homes এর গল্প নিয়ে বসে থাকত। আমি ভেবেছিলাম ছোট বয়সে মানুষের মাথায় কত রকমের ভুত মাথায় ঢুকে । বয়সের সাথে সাথে তা বেরিয়ে যায় । আমার বন্ধুর বেলায় তা ঘটেনি । কলেজে পড়তে দেখতাম পত্রিকায় খুনটুন এর রহস্য নিয়ে পরে থাকতো আর আমাদের এসে এগুলোর গল্প শোনাত । ভার্সিটি জীবন শেষ কর

অন্তরীপ

ঘুম থেকে উঠেই দেখি প্রায় ২০ টার মত মিসড কল। রাজু ফোন দিয়েছিল,সামি নাকি কাল ট্যুর প্লান করেছে  তাই কেনাকাটার এক মস্ত আয়োজন।এদিকে মাসের শেষ টাকা পয়সা শেষ কিন্তু ট্যুর।  মিস করা যাবে না । কল ব্যাক ব্যাক করলাম। “কিরে শালা আবার তুই ফোন সাইলেন্ট করে রাখছিস আজ আয় খালি খবর আছে । আমরা নিউ মার্কেট আছি।জলদি আয়” কিছু বলার সুজোগ না দিয়েই ফোন কেটে দিল রাজু। আমিও পকেটের ভাজে রাখা পুরানো ১০০০ টাকার নোট নিয়ে বের হলাম। মিরপুর থেকে ১ ঘন্টার মধ্যেই পৌছে গেলাম। “কিরে  ট্যুর এর জন্য কি কিনবি ?” “এইতো ২ টা শার্ট আর প্যান্ট ত আছেই” “মাস শেষ যা  কেনা যায় তাই  আল্লহর কাছে শুকরিয়া কর ব্যাটা।” কেনাকাটা শেষ করে চায়ের দোকানে এশে বসলাম । ব্রেকিং নিউজ গাবতলিতে ট্রাক চাপায় কণিকা আহমেদ নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু । আমি তো চমকে গেলাম।নামটা চেনা চেনা লাগলো পুরনো দিনের কথা মনে পরে গেল। যাইহোক একই নামের অনেক আছে সেটা নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই ।  পাশে বসা রাজু আমার কাধে ধাক্কা দিয়ে,“ কিরে ব্যাটা আজকে এত ফিট খেয়ে পইরা আছোস ক্যা? নাকি আমাদের সাথে যাবি না?” “আরে বাল প্যারা নাই টাকা আছে বাল। আর বেশি সমস্যা হলে বিকাশে আছে কিছু ব্যাক

নাম না দেয়া এক গল্প

১৫ আগস্ট শোক দিবসের কারনে আমার অফিস বন্ধ। প্রতিদিন সকাল ৬ টায় এলার্ম এর আওয়াজে ঘুম ভেংগে যায়। সরকারি বন্ধ থাকা সত্বেও আজকে তার ব্যতিক্রম হয়নি। আসলে ঘুম থেকে সকাল সকাল উঠার কোনো প্ল্যান ছিল না। গত রাতের একটা ভুলের জন্য আমার সকাল সকাল উঠতেই হলো। এলার্মটা মনে করে বন্ধ করি নি তাই। সারাদিন মাঠে ঘাটে ঘুরাঘুরির পরে বাসায় এসে রান্না করে খেতেও ভালো লাগে না। সোজা বিছানায় এসে ঘুমিয়ে পড়া তখন মনে হয় জীবনের সবথেকে বড় ফরজ কাজ। সেই ফাকে এলার্ম বন্ধ করতে ভুলে গেছি । আমার নাম রবিন । একটা এন জি ও তে কাজ করছি। রাঙ্গামাটিতে পোস্টিং হয়েছে। বয়স প্রায় ৩৪ ছুই ছুই । আপন বলতে মা আছেন আর ছোট একটা বোন আছে । বিয়ে হয়েছে ওর অনেক ভালো পরিবারে । আমার এখনো বিয়ে হয় নি আর ভবিষ্যৎ এ বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা ও নেই। চাকরির সুবাদে সেখানে ঘুরে বেড়াই। সত্যি বলতে কি আমার এই একাকি জিবনটাকে আমি খুব উপভোগ করি।  সারাদিন ঘুমে কাটিয়ে বিকালে রাস্তায় বের হয়েছিলাম। তখনি আমার বসের ফোন। ইচ্ছে করেই ফোন রিসিভ করিনি। আজ ছুটির দিনে আবার কিসের কাজ। কাড়া লিকারের চা খেতে চলে গেলাম মঞ্জু ভাই এর দোকানে ।  “ভাই কড়া লিকারের এক কাপ রঙ চা দিয়েন

একা থাকার কিছু অভিজ্ঞতা

         ১ম পর্ব            একা থাকার মধ্যে এক রকম আনন্দ কাজ করে । এই ২ মাস যাবত একা আছি । বাসা থেকে ভার্সিটি একাই যাওয়া আসা করছি । অনেকে বলে একা একা থাকার মধ্যে একঘুয়েমি ভাব কাজ করে আমার ক্ষেত্রে তার ছিটে ফোটাও অনুভব করিনি । আমার ভার্সিটি ওপেন ক্রেডিট সিস্টেম হওয়ায় সেম সেমিস্টার এর ছেলে মেয়ে পাওয়া এক রকম দুষ্কর ব্যাপার। তাই থাকতে হয় একা একাই। একজন বাচাল টাইপ মানুষের ক্ষেত্রে এইরকম পরিবেশে থাকা অনেকটাই চ্যলেঞ্জিং ব্যপার। স্কুল কলেজে থাকতে প্রচুর বন্ধু ছিল । লাইফে কোন সময় বোরিংনেস ফিল হয় নি । ভার্সিটি লাইফে এসে এই বন্ধু বানানোই আমার জন্য কস্টকর হয়ে গিয়েছে। একা একা বাসে ভ্রমন আর বন্ধুর সাথে বাসে ভ্রমন এই ২ জিনিস নিয়ে দুই অভিজ্ঞিতা হয়েছে । আহে কলেজ যাওয়ার সময় বাসে খুব আড্ডা চলতো   আশেপাশে কি হচ্ছে তার দিকে বিন্ধুমাত্র খেয়াল যেত না । একা চালাফেরা করার সময় মস্তিস্ক দেখি সবসময় খোজা খুজী করে কোথেয় কি হচ্ছে । যেমন ধরুন এই মাত্র বাসে এক ভুরি আলা কাকা উঠে গেল। কেন এই ভিড়ের মাঝে তিনি উঠলেন । ফাকা একটা বাসেই তো তিনি উঠতে পারতেন। আবার নিজেই নিজের চিন্তার সাথে কাঊন্টার চিন্তা আসে , হয়তো ওনার আরো জরু